
প্রকাশিত: Sun, Mar 5, 2023 4:27 PM আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 3:20 AM
যেকোনো চিন্তা বা শিল্পকে নৈর্ব্যক্তিকভাবে দেখার কবে চোখ তৈরি হবে?
আহসান হাবিব : [২] আমি যখন মানুষের মনস্তত্ত্ব বিশেষত প্রেম এবং যৌনতা নিয়ে লিখি, দু’একজন এসব পড়ে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে। তারা বিষয়গত আলোচনা করতে পারেন না। সেই হতাশা থেকে তাদের আদিম মনোবৃত্তিটা বের করে ফেলে, এটা আমি বুঝতে পারি। ফ্রয়েড যখন মনোঃসমীক্ষণ তত্ত্ব প্রকাশ করছিলেন, তখন তিনি একটা লেখায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে এই তত্ত্ব তার অনেক শত্রু বাড়িয়ে দেবে। হয়েও ছিলো তাই। কারণ এই মনোঃসমীক্ষণ মানুষের অবচেতন মনের সত্যকে সামনে নিয়ে এসে প্রকৃত সত্যটা ফাঁস করে দেয়, ফলে মানুষ বিব্রত হয়, রেগে ওঠে।
[৩] ধরুন, আমি বললাম বিয়ে মানুষের বেসিক ইনস্টিঙ্কট বহুগামিতাকে দমন করতে পারে না। অমনি কেউ কেউ বলে ফেললো ‘তাহলে আপনার বউ বহুগামি’! এর কোন উত্তর হয় না। কারণ আমি চাই বা না চাই, বউ যদি বহুগামি হতে চায়, কেউ তা প্রতিরোধ করতে পারে না। আমিও যদি বহুগামি হতে চাই, কেউ প্রতিরোধ করতে পারবে না। কিন্তু সত্য হচ্ছে এটা কোনো ব্যক্তির চাওয়ার উপর নির্ভর করে না। এটা প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে ঘটে, আজ অথবা কাল। তাহলে আমরা এই হিপোক্রেসি করি কেন? এখানেই রাজনীতিটা জড়িত। বহুকথিত সেই ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা। এই ধারণাই বিয়ে এবং একগামিতা হাজির করেছে। যদি এই ধারণা না সৃষ্টি হতো, তাহলে মানুষ এসব নিয়ে মাথা ঘামাতো না। ব্যক্তিগত সম্পত্তির ব্যবস্থা যদি লোপ পায়, তাহলে কি বিয়ে বা একগামিতার ধারণা বিলুপ্ত হয়ে যাবে? এখনি তা বলা সম্ভব নয়, তবে এইসব ধারণা নিয়ে মানুষ আর মাথা ঘামাবে না। সে জীবনকে উপভোগ করবে অবৈর দ্বন্দ্বের আকারে।
[৪] ধরুন, আমি বিষন্নতা নিয়ে একটা কবিতা বা কিছু একটা লিখলাম। একটা টেক্সট। পড়া মাত্র লোকজন সান্ত্বনা দিতে শুরু করলো। অথচ আমি বিন্দাস আছি। সব লেখাই কি ব্যক্তিগত? না, একজন লেখক বিষয় হিসেবে যেকোনো কিছু লিখতে পারে। দেখা দরকার টেক্সট হিসেবে তা কতোটা উত্তীর্ণ হয়েছে কিংবা হয়নি। যেকোনো চিন্তা বা শিল্পকে নৈর্ব্যক্তিকভাবে দেখার কবে চোখ তৈরি হবে? অপরিণত, অবিকশিত, নাবালকে ভরা এই দেশ কবে একটু সাবালক হবে? লেখক: ঔপন্যাসিক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
